চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আষাঢ়ের বর্ষণে ক্রমশই বেড়ে চলেছে পদ্মা নদীর পানি। অন্যদিকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নামো জগন্নাথপুর ও চর জগন্নাথপুর এ দুই গ্রামের মানুষ। এদিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কয়েক দিনের মধ্যে এখানে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। শিবগঞ্জের দূর্লভপুর ইউনিয়নের নামো জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা আ. আওয়াল জানান, আষাঢ়ের বর্ষণের কারণে পানি দ্রুত বাড়ছে।
এসময়ে নদী তেমন না ভাঙলেও পানি কমার সময় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করবে। রামনাথপুর এলাকার বজলুর রশিদ জানান, প্রতিদিনই পদ্মায় পানি বাড়ছে। নামো জগন্নাথপুর, আর চর জগন্নাথপুর এলাকার লোকেরা এখন পানিবন্দি। তিনি জানান, গত ৪ বছরে হাজার হাজার বিঘা জমি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রতিবছর নদী ভাঙন দেখতে সরকারি লোকজন আসে, কিন্তু বাঁধ আর নির্মাণ হয়না।
নামো জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম জানান, বাদশাহ পাড়া, পন্ডিত পাড়া, দোভাগী, মনোহরপুর, ঠুঠা পাড়া, রামনাথপুর এ ৬টি এলাকা সবচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে। ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা নাজমুল হোসের সোহেল জানান, প্রতি বছর বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেই নামো জগন্নাথপুরের অধিকাংশ রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
মানুষ তখন আরও দুর্ভোগে পড়ে। স্থানীয় জন-প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করে যায়, কিন্তু কাজ করে দেয় না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল শরীফ জানান, পদ্মা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে দশমিক ৩ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পদ্মায় পানি আছে ২১ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার।
বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ২২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। আর মাত্র দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার পানি বাড়লে পদ্মা তার বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। তিনি আরও জানান, ওই সব এলাকা নিচু হওয়ায় হালকা বর্ষণে রাস্তাঘাট বসত বাড়ি ডুবে যায়। গত ২ দিন আগে ওই এলাকায় জিও ব্যাগ পাঠানো হয়েছে। যেসব স্থান দ্রুত ভাঙছে, ওই স্থানে জরুরীভাবে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই কাজ শুরু হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।